আঁখিতারা গ্রামের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসের বাবা গ্রামের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন পল্লি চিকিৎসক। চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি মানসম্মত ঔষধও বিক্রি করেন। গ্রামে বিভিন্ন রোগের ঔষধের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে তিনি সব ধরনের ঔষধ ক্রয় করতে পারেন না। সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে ঔষধ কোম্পানির এজেন্টরাও প্রয়োজনীয় ঔষধ সময়মতো পৌঁছাতে পারেন না। অন্যদিকে দোকানে সংরক্ষণের সুব্যবস্থা না থাকায় অনেক ঔষধ নষ্ট হয়ে যায় ।
বাংলাদেশ একসময় ব্যবসা-বাণিজ্যে সারা বিশ্বে সুপরিচিত ছিল। এ দেশে এমন একটি বস্ত্র তৈরি হতো যার খ্যাতি দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদীর আবহাওয়া ও জলীয়বাষ্প সে বিখ্যাত বস্ত্রটির সুতা তৈরিতে সহায়ক ছিল। সাথে ছিল শ্রমিক ও কারিগরদের আন্তরিক পরিশ্রম ও সৃজনশীলতা। বর্তমানে ব্যবসায়িক পরিবেশের সবগুলো উপাদানের উন্নয়ন ঘটাতে পারলে ব্যবসায়-বাণিজ্যের অধিক প্রসার ঘটবে এবং ফিরে আসবে অতীত গৌরব।
মেহদাদ ও নুহাস দুই বন্ধু দশ বছর বিদেশে অবস্থান করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। তাদের আর বিদেশ যাবার ইচ্ছা নেই। মেহদাদদের এলাকা চিড়া-মুড়ি তৈরির জন্য বিখ্যাত। সে জন্য মেহদাদ গ্রামের দক্ষ কারিগরদের একত্রিত করে বৃহৎ আকারে মানসম্মত চিড়া-মুড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। এতে মেহদাদের উন্নতির পাশাপাশি কারিগরদেরও সচ্ছলতা বৃদ্ধি পেল। অন্যদিকে নুহাস গ্রামের ঐতিহ্যকে লালনের উদ্দেশ্যে তার নিজ বাড়িতে একটি পাঠাগার ও সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিলেন। এলাকাবাসী তাদের কর্মকাণ্ডে খুশি ৷
কাজল ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকে। স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সে ছবি ও ব্যানার লিখে থাকে। তার নিখুঁত ও আকর্ষণীয় কাজ দেখে শিক্ষক ও বন্ধু-বান্ধব সবাই প্রশংসা করে। পরীক্ষার পর কাজল একটি এনজিওর অনুরোধে কিছু পোস্টার ও ব্যানার তৈরি করে দেয়। এতে তার হাতে বেশ কিছু অর্থও আসে। তার উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে বৃহৎ পরিসরে কাজল তার কর্মকে এগিয়ে নিতে পারছে না। কাজল স্বপ্ন দেখে একদিন তার ‘কাজল আর্ট’-এর সুনাম ও পরিচিতি এলাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়বে।
ঐশী, সাদী ও সামী তিন বন্ধু সম্প্রতি বি কম পাস করেছে। তারা তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছিল। ঐশী ও সাদী এম কম-এ ভর্তির চিন্তা করছে। সামী এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারেনি। কারণ তার বাবার ইচ্ছা সে মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে চলে যাক। কিন্তু মেধাবী সামী চায় দেশেই কিছু করতে। এ জন্য সে হাঁস-মুরগি পালনের উপর দু'মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এতে তার মনোবল বেড়ে যায়। বিদেশ যাবার টাকা দিয়ে সে বাড়িতে হাঁস-মুরগির খামার প্রতিষ্ঠা করে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান প্রয়োগ করে নিজের চেষ্টায় আজ সে স্বাবলম্বী।
রাঙামাটির স্কুল শিক্ষক মামাপ্রু মারমা স্থানীয় তাঁতী মেরিনা মারমাকে তাঁতে বোনা পণ্য-সামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা দেন। ব্যাপক চাহিদার কথা চিন্তা করে মেরিনা পাহাড়ি মেয়েদের পোশাক “থামি” তৈরি করে বিক্রি করা শুরু করে এবং দ্রুত উন্নতি লাভ করে। মেরিনার কারণে বেশ কয়েকটি মেয়ের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার জেলায় বিগত তিন বছর যাবত তিনি সেরা নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন।
নাফিজ ও তার চার বন্ধু চুক্তির ভিত্তিতে একটি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করেন। উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান ভালো হওয়ায় দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যবসায় সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে সমস্যা হচ্ছে। তাই তারা সংগঠনের ধরন পরিবর্তন করে ১৯৯৪ সালের আইনানুযায়ী ‘নাফিজ এন্ড ফ্রেন্ডস' কোং লিঃ নামে প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধন করে বৃহৎ পরিসরে কাজ শুরু করেন। ২ বছরের মধ্যে তারা দুইটি বিভাগীয় শহরে তাদের শাখা খুলে ব্যবসায় সম্প্রসারণ করেন।
বার্ষিক পরীক্ষার পর ইসমাম হাতিয়া থেকে ঢাকায় বেড়াতে এলো। কলেজ পড়ুয়া মামাত ভাইয়ের সাথে চিড়িয়াখানা, নভোথিয়েটার, জাতীয় জাদুঘরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় এলাকা ঘুরে বেড়াল। ইসমাম লক্ষ করল তার ভাই যেখানে যায়, সেখানে একই নামে একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করে। কারণ জিজ্ঞাসা করে সে জানতে পারল এটি একটি বিদেশি রেস্টুরেন্ট। বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে এটির শাখা আছে। তবে এ জাতীয় ব্যবসায় এখনও বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেনি।
জনাব সবুজ একজন উদ্ভাবক। তিনি দীর্ঘদিন গবেষণা করে এমন একটি সৌরশক্তি চালিত পানি সেচের যন্ত্র আবিষ্কার করেন যেটি বাজারে প্রচলিত অন্যান্য সেচ যন্ত্র থেকে আলাদা। জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করে এটি প্রথম স্থান অধিকার করে। তিনি এটি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করে বাজারে ছাড়েন এবং ব্যাপক সাড়া পান। কিছুদিনের মধ্যেই অন্য একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি তার এ যন্ত্র নকল করে বাজারজাত করে। কিন্তু তিনি ঐ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেও আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি।
বর্তমানে আমাদের দেশে নির্মাণ ও হাউজিং শিল্পের ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে বুয়েট থেকে সদ্য পাস করা জনাব আরিফ আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করেন। প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে তারা পুরো কর্মকাণ্ডের দীর্ঘমেয়াদি একটি ছক প্রণয়ন করেন। প্রাথমিক ব্যয় নির্বাহের জন্য যথেষ্ট মূলধন নিজেদের না থাকায় মূলধন সংগ্রহের বিকল্প উৎসও নির্ধারণ করেন।
জনাব শাহেদ আনন্দ কনফেকশনারির মালিক। নিচে তার দোকানের বছর শেষের আয়-ব্যয়ের তথ্য ছকে উপস্থাপন করা হলো-
ব্যয় | টাকা | আয় | টাকা |
দোকান ভাড়ার এককালীন অগ্রিম | ১,০০,০০০.০০ | পণ্য বিক্রয় | ৫,১৬,০০০.০০ |
কাঁচামাল ক্রয় | ১,৫০,০০০.০০ | ||
আসবাবপত্র ও সাজসজ্জা | ১,০০,০০০.০০ | ||
শ্রমিকের মজুরি | ৫০,০০০.০০ | ||
দোকান ভাড়া | ৬০,০০০.০০ | ||
কর্মচারীর বেতন | ৩৬,০০০.০০ | ||
বিদ্যুৎ বিল | ১২,০০০.০০ | ||
অন্যান্য খরচ | ৮,০০০.০০ |
রাশিক ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে পাটচাষের জন্য বিখ্যাত ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর গ্রামে একটি পাট ও পাটজাতশিল্প স্থাপন করেন। তার বন্ধু রাফি সমপরিমাণ বিনিয়োগ করে একই ধরনের শিল্প স্থাপন করলেন রাজশাহী অঞ্চলে যেখানে আখ চাষ বেশি হয়। নির্দিষ্ট সময় পরে রাশিকের শিল্প প্রতিষ্ঠানটি রাফির প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি মুনাফা করে ।
“হাসি-খুশি নকশী ঘর” জামালপুরের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এর স্বত্বাধিকারী জনাব মাহিন অনেক ভেবেচিন্তে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করেন। প্রয়োজনে কর্মীদের পরামর্শ দেন। দীর্ঘ মেয়াদে সফলতা বজায় রাখার নিমিত্তে নকশী কাঁথা ও অন্যান্য সামগ্রী তৈরির জন্য দক্ষ কারিগরের গুরুত্ব বিবেচনা করে তিনি কর্মী নিয়োগ দেন এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
ইয়াফী ও শাফী দুই বন্ধু। তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি অবস্থিত। ইয়াফী ব্যবসায় পরিচালনা করতে গিয়ে কর্মীদের সাথে আলোচনা করে তাদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। শাফী কর্মীদের উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন এবং এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন নয়। কর্মীদের অসন্তোষের কারণে শাফীর ব্যবসায়টি ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়।
বড় রাস্তার পাশে ‘আদর স্টোর' নামে নতুন একটি দোকান আছে। কিন্তু কোনো কারণে দোকানটির বিক্রি ভালো নয়। সম্প্রতি দোকানের মালিক তার দোকানের পরিচিতি, সেবার ধরন, পণ্যের মান ও বিভিন্ন প্রকার পণ্যের নাম লিখিত একটি মুদ্রিত কাগজ পত্রিকার হকারের মাধ্যমে এলাকার বাসায় বাসায় পৌঁছে দিলেন। কিছুদিন পর দেখা গেল তার দোকানে ক্রেতার সমাগম ও বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালনা সংক্রান্ত জটিলতা ও ঝুঁকির কথা চিন্তা করে জনাব মেহরাজ এ কাজে এগিয়ে আসতে চায়নি। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সরকারি ও বেসরকারি সহায়তার কথা শুনে তিনি ঢাকার অদূরে সাভারে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন। কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে অল্পদিনেই সফলতা লাভ করেন। সম্প্রতি প্রতিযোগী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে তাঁর পক্ষে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
সায়মা হক ছোটবেলা থেকেই চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে পছন্দ করতেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করে নারায়ণগঞ্জ বিসিক শিল্প এলাকায় ‘সায়মা ফুড প্রডাক্টস' নামে একটি উন্নতমানের ও রপ্তানিমুখী কারখানা স্থাপন করেন। এজন্য তিনি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা নিয়েছেন। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে ৩০০ জন কর্মচারী নিয়োজিত আছেন।
জনাব আলী গাজীপুরের গজারি বন এলাকায় গাছপালা কেটে ৫০০ একর জমির উপর ‘নাঈম ফার্মা’ নামে ঔষধ শিল্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন। পরবর্তীতে পরিবেশবাদী বন্ধুর পরামর্শে পার্শ্ববর্তী খালি জায়গায় প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন। তার প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত ঔষধ দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন পদে ২০০০ লোক কর্মরত রয়েছে।
এম. কম পাস করার পর জনাব ইশরাক একটি ঔষধ কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। চাকরির নিয়ম কানুন, অন্যের অধীনে কাজ করা ইত্যাদি ভালো না লাগায় চাকরি ছেড়ে নিজেই উদ্যোগ গ্রহণ করে একটি ঔষধের ব্যবসায় শুরু করেন। পরবর্তীতে পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা ইত্যাদি পুঁজি করে “রাজ ফার্মা” নামে একটি ঔষধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।
কালিকচ্ছ গ্রামের শ্যামল সামান্য টং দোকান দিয়ে ব্যবসায় শুরু করেছিলেন। দিন-রাত খেটে তিলে তিলে তিনি ব্যবসায়টি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সদা হাস্যময় শ্যামল কখনো ক্লান্তির কাছে হার মানেননি। তার প্রতিদিনের কাজের ব্যস্ততা এলাকার সবাইকে মুগ্ধ করত। আজ তিনি এলাকার স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তার হাত প্রসারিত।
জনাব রমজান ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে গ্রামে এসে একটি প্লাস্টিক সামগ্রীর ফ্যাক্টরি দেন। তার উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান ভালো কিন্তু বিক্রয় ও মুনাফার পরিমাণ আশানুরূপ নয়। তাছাড়া গ্রামে অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না এবং কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার সুযোগও কম। ফলে ফ্যাক্টরি সম্প্রসারণ করার ইচ্ছা থাকলেও সফল হচ্ছে না।
সান, মুন ও স্টার তিন বন্ধু পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে একটি ব্যবসায় পরিচালনা করছে। তাদের ব্যবসায়টিতে মুনাফাও হচ্ছিল বেশ। কিন্তু সান সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় তাদের ব্যবসারটির বিলোপ ঘটে। কিন্তু মুন ও স্টার পরবর্তীতে ভাবল তারা এমন কিছু করবে যাতে প্রতিষ্ঠানের পৃথক আইনগত সত্তা থাকে। যাতে করে কারো মৃত্যুতে ব্যবসায়ের বিলোপ না ঘটে।
জনাব আলী কুষ্টিয়ার বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্স-এ হাতের তৈরি পোশাক বিক্রয় করেন। তিনি বছরের শুরুতেই বিক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কার্যক্রম শুরু করেন। কোন দোকানে কী পরিমাণ, কীভাবে, কখন পোশাক দিবে তা আগে থেকে ঠিক করে নেয়। তার ব্যবসায়ের অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন সময়ে দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তির প্রয়োজন হয়।
জনাব রায়হান ও রাজিব দুই বন্ধু মাছের রপ্তানি ব্যবসায় করেন। মাছের দাম আজ একরকম কাল আরেক রকম, মাছের অর্ডার দিলে ঠিকমতো সরবরাহ করতে পারে না। সেই কারণে তারা শান্ত নীড় আবাসিক এলাকায় মাছ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি কারখানা তৈরি করেন। এতে ব্যাপক মুনাফা হয় কিন্তু স্থানীয় লোকজন তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দায়ের করেন।
খুলনার তেতুলিয়া গ্রামের জনাব শরিফ তার এলাকায় দেশি প্রজাতি মুরগির খামার স্থাপন করেন। খামারে উৎপাদিত ডিম তিনি তার এলাকায় বিক্রি করে সফলতার মুখ দেখেন। ত্ইনি তার ব্যবসাকে আরো সম্প্রসারন করার জন্য আরও লাভের আশায় খুলনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত করতে চান। খুলনা তেতুলিয়ার মধ্যবর্তী ভৈরব নদীতে একটি সেতু না থাকার কারণে তিনি তা সঠিকভাবে করতে পারছেন না।
উচ্চ শিক্ষিত মি. মনসুর চইত্রা নদীর তীরে স্বল্পমূল্যে চল্লিশ একর জমি নিয়ে মনোরম পরিবেশে একটি পিকনিক স্পট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধা ও খেলার সামগ্রী দিয়ে এটাই সুন্দরভাবে সাজান। পরবর্তীতে ৩০ টাকা প্রবেশ ফি নির্ধারণ করেন। প্রথম কয়েক বছর স্পটে লোক সমাগম ছিল কম। তিনি আশাবাদী ছিলেন এবং হতাশ না হয়ে টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করেন। ফলে প্রচুর সমাগম বৃদ্ধি হতে লাগল এবং স্পট থেকে আয়ের পরিমান বৃদ্ধি হতে লাগল।
কক্সবাজারের জনাব সুবাদের দারিদ্র্যতার কারণে এসএসসি পাসের পর সে স্থানীয়ভাবে শামুক ও ঝিনুক নিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দেন সাগরপাড় থেকে নানা আকারের কিনুক ও শামুক সংগ্রহ করে তা দিয়ে সে ঝাড়বাতি, গহনা, শো-পিচ ও খেলনা তৈরি করেন। তার তৈরিকৃত সাময়ী পর্যটকদের নিকট বিনয় করেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোক প্রদর্শনীতে পণ্য সরবরাহ করে মুনাফা অর্জন করছেন।
রাজু, সাজু ও কিছু তিন বন্ধু পারম্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে ভে ব্রাদার্স" নামের একটি ব্যবসায় সংগঠন গড়ে তোলেন। তাদের ব্যবসায় সংগঠনের প্রত্যাশিত লাভ-লোকসান তারা আলোচনাসাপেক্ষে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করেন। বেশ কয়েক বছর ব্যবসায়টি সফলতার সাথে চলছে। সম্প্রতি একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার বিষ্ণু মস্তিষ্কে আঘাত লেগে পাগল হয়ে যায়। এই কারণে ফ্রেন্ডস্ এন্ড ব্রাদার্স সংগঠনটির বিলোপ ঘটে।
জনাব অর্ণব দীর্ঘদিন গবেষণা করে এক ধরনের নতুন গমের বীজ উদ্ভাবন করেন। এই বীজ হতে অতি অল্প সেচে এবং অল্প সময়ে গম উৎপন্ন হয়। তিনি বিশেষ চিহ্নবিশিষ্ট প্যাকেটে উদ্ভাবিত গম বীজ বাজারে বিক্রি করে থাকেন। তাপি একটি অসাধু বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তার উদ্ভাবিত বীজের অনুরূপ গমের বীজ নকল করে বাজারজাত করছে। কিন্তু যথাযথ প্রমাণের অভাবে জনার অর্ণব উষ্ণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি।
জনাব নাকিব একটি অটোরাইস মিলের মালিক। তার ব্যবসায়ের নির্দিষ্ট সময়ে কী পরিমাণ অর্থ আসে ও ব্যয় হয় তার প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য একটি বিবরণী তৈরি করেন। তিনি পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ও বিনামূল্যের মধ্যে সমতা বিধান করেন। এ কারণে প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জনের জন্য উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করে বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন।
তাজিন ফ্যাশনের মালিক জনাব জান্নাতুল তার প্রতিষ্ঠানের অধস্তন কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। তিনি কর্মীদের মতামতও গ্রহণ করেন। যার ফলশ্রুতিতে সকল কর্মী কাজে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু তার পার্শ্ববর্তী আজগর ফ্যাশনের মালিক জনাব আজগর কর্মীদের কাজের দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকেন। কর্মীদের কাজের জন্য জবাবদিহিতা করেন না। কর্মীরা তাদের ইচ্ছামতো কাজ করেন বিধায় কাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় ।
জনাব মিজান “গাংচিল" ইজিবাইক শো-রুমের মালিক। তিনি ইজিবাইক তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চীন থেকে আমদানি করে তার শো-রুমে তৈরি করে বিক্রয় করেন। ইজিবাইক বিক্রয়ের জন্য তিনি কয়েকজন বিক্রয় কর্মীকে নিয়োগ দেন। নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে তিনি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বিক্রয়কর্মীর মধ্যে সততা, ভদ্রতা ও সহজে অন্যের সাথে মিশতে পারে এমন নারী-পুরুষ উভয়কে বিবেচনা করেন।
জনাব আরিক লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজে কিছু করতে আগ্রহী। তাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রশিক্ষণ, মেলা ও বিজ্ঞাপন ব্যবসায়ে আগ্রহী করে তোলে। সবকিছু চিন্তা করে তিনি একটি ফার্স্ট ফুড তৈরির কারখানা স্থাপন করেন। কিন্তু কারখানাটি স্থাপনের সময় কাঁচামাল সরবরাহ ও অবকাঠামোগত কিছু সমস্যায় পড়েন। যা থেকে উত্তরনের জন্য জনাব আরিক নিকটবর্তী একটি সংস্থার কাছে শরণাপন্ন হন। সংস্থাটি তালিকাভুপ্তিকরণসহ বিভিন্ন প্রদান করে থাকে।
জনাব জারিফের ঢাকার নিউমার্কেটে তৈরি পোশাকের শোরুম আছে। উক্ত শো-রুমে দশজন কর্মচারী কাজ করে। নিউমার্কেটের উপযুক্ত স্থানে তার শো-রুমটি অবস্থিত হওয়ায় ভালোই মুনাফা অর্জিত হয়। খরচ-খরচা বাদেও তিনি যথাসময়ে কর প্রদান করেন। ঈদ-পার্বণ আসলে নির্দিষ্ট সময় ছাড়াও অতিরিক্ত সময় কাজ করায় কর্মচারী বোনাস দাবি করলে জনাব জারিফ বোনাস দিতে রাজি নন। তার মতে ওভারটাইম প্রদান করা হয় বলে বোনাসের প্রয়োজন। নেই। ফলে কর্মচারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ৩ জন কর্মচারী চাকরি ছেড়ে দেন। এতে প্রতিষ্ঠানটির বেশ সুনাম নষ্ট হয়েছে।
বিলকিস পারভীন ব্যক্তিগত কিছু সম্পত্তি বিক্রয় করে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ১০টি গরু ক্রয় করে একটি খামার স্থাপন করলেন। কঠোর পরিশ্রম, যত্নশীলতা ও সৃজনশীলতার কারণে অল্পদিনের মধ্যেই তিনি একজন সফল খামারী হয়ে উঠেন। এলাকার অন্য উদ্যোক্তাদের মধ্যেও ব্যাপক আলোড়ন পড়ে। স্বাধীনতা দিবসে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিলকিস পারভীনকে সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয় ।
ইমরান হাসান একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। প্রতিষ্ঠানটি নিজ নামে তৃতীয় পক্ষের সাথে চুক্তি করতে পারেন কিন্তু মুনাফা অর্জন প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য নয়। জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে এটি হতে হয়। ইমরান তার বন্ধু ইমনের পরামর্শে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চালু করার জন্য মূলধন বিনিয়োগ, মুনাফা বা ক্ষতি ভাগাভাগি করার জন্য প্রতিশ্রুতিবন্দ হয়।
মি. আসলাম ঢাকার নামকরা হোটেল ব্যবসায়ী। বর্তমানে তিনি আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন। শর্ত অনুযায়ী তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানের পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় করবেন। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের তৈরি পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন না। সুনামের সাথেই ব্যবসায়টি চলছিল কিন্তু হঠাৎ আগুন দেগে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
আরমানি ট্রেডার্সের মালিক আরমানি খানম সুনামের সাথে বরিশালের একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালন করেন। প্রতিষ্ঠানের ভালো-মন্দ যেকোনো বিষয়ে কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন এবং কর্মীরাও প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের মনে করে। অন্যদিকে শফি ট্রেডার্সের মালিক শফিউল আলম তার কর্মীদের কোনো জবাবদিহি করেন না, কর্মীদের ওপর আস্থাও রাখেন না এবং তিনি সবসময় কর্মীদের ওপর খারাপ মনোভাব পোষণ করেন।
জনাব রায়হান আজিম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ গ্রামে খামার, গবাদিপশু পালন, মৎস্য চাষ ও শাকসবজি উৎপাদনের বেশকিছু প্রকল্প চিহ্নিত করে মূলধন সংগ্রহের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার শরণাপন্ন হন এবং সহযোগিতাও পান। অল্প মধ্যে তিনি সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যান। এলাকার অনেকেই তাকে করতে শুরু করে ।
ভাই ভাই মেডিক্যালের মালিক আরমান ও সালমান দুই ভাই। সুনামের সাথেই তারা ব্যবসায় করে আসছিল। সালমান দ্রুত বড়লোক হবার জন্য অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে কিন্তু আরমান সৎভাবে ব্যবসায় করতে চায়। হওয়ায় ব্যবসায় শুরু করে। সালমান অধিক লাভের আশায় নিম্নমানের মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয় করে। এলাকায় তার ব্যবসায় জনমনে ক্ষোভের তৈরি হয়। তার ঔষধ খেয়ে রোগীরা অসুস্থ হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে । অন্যদিকে আরমান সবসময় গুণগত মানের পণ্য বিক্রয় করে, পণ্যের সংকট সৃষ্টি না করায় দিন দিন সুনাম বাড়তে থাকে।
পরিবেশ দূষণ কমাতে মি. নিজামের পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সামগ্রীকে পুনঃব্যবহারযোগ্য করার উপায় খুঁজতে বলেন। সে চিন্তা থেকে তিনি রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ায় পরিতার প্লাস্টিক হতে শিশুদের বিভিন্ন খেলনা তৈরির কারখানা স্থাপন করলেন। তার কারখানায় কর্মচারী হিসেবে ১০ জন বেকার যুবককে নিয়োগ দিয়েছেন। তাই উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশে রপ্তানি করছে।
হাবিব যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে প্রশিক্ষণ ও বাবার নিকট হতে অর্থ নিয়ে পোল্ট্রি খামার স্থাপন করেন। প্রথমে ২০০ মুরগি নিয়ে খামার শুরু করলেও ২ বছরের মধ্যে তার খামারের মুরগির সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫০০টি। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রামের বেকার যুবকরা মুরগির খামার স্থাপনে আগ্রহী হচ্ছে। হাবিব আগ্রহী যুবকদের পোল্ট্রি খামার স্থাপনের ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।
কাশিশ্বরপুর গ্রামের মতিন ও তার ২ বন্ধু সমঝোতার ভিত্তিতে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। এতে তাদের অবস্থা বেশ ভালো দেখে তাদের গ্রামের ২৫ জন কৃষক একত্রিত হয়ে সমতার ভিত্তিতে মূলধন বিনিয়োগ, নিজেদের মধ্যে ঝুঁকি ও সুযোগ-সুবিধা ভাগ করে নিতে সম্মত হয়ে একটি সংগঠন স্থাপন করে। সংগঠনটি আইনগত নিয়ম পালন করে নিবন্ধিত হয়ে মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এবং সদস্যদের পারস্পরিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
জনাব সাইফ ঢাকা হতে লঞ্চযোগে ভোলায় পণ্য নিয়ে এসে স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করেন। হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। ফলে জনাব সাইফ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। কিন্তু পূর্বেই 'p' নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি থাকায় আর্থিক সাহায্য পান। পরবর্তীতে সাইফ স্থানীয় বাজারে 'Q' নামক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। যা ভোগ্যপণ্য উৎপাদন করে বিক্রয় করে। একদিন 'X' নামক একটি প্রতিষ্ঠান 'Q' নামক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের মান যাচাই করে এবং গুণগত মানসম্পন্ন না হওয়ায় জরিমানা করে। ভবিষ্যতে যদি এ ধরনের পণ্য উৎপাদন করে তাহলে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন চিরতরে বন্ধ করে দেবে বলে সতর্ক করে।
জনাব ইকবাল পাউরুটি ও কেক উৎপাদন করে বিক্রয়ের জন্য ইকবাল কনফেকশনারী' প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিলেন। সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য তিনি বাজারে পণ্যটির চাহিদা ও গ্রহণযোগ্যতা যথাযথভাবে নিরূপণের লক্ষ্যে জনগণের জীবনযাত্রার মান, ভোক্তার আয়, ফলাফল অনুকূল ইত্যাদি হওয়ায় শহরের বিসিকে একটি কারখানা স্থাপন করলেন এবং উৎপাদিত পণ্যের মান ভালো হওয়ায় প্রতিদিন নগদ লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এজন্য দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক নগদ লেনদেনের হিসাব সংরক্ষণ করতে হয়।
প্রকৌশলী জনাব রাইজুল তার কারখানার জন্য কিছু অভিজ্ঞ লোকের নিয়োগ দেন। এছাড়া কিছু নতুন ব্যক্তির নিয়োগদানের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন কিছুদিন পরে সজল নামে একজন ব্যক্তিকে দুর্নীতির জন্য চাকরি হতে অপসারণ করেন। তিনি কারখানায় নারী-পুরুষ উভয়ের কাজের ভেদাভেদ না করে উপযুক্ত পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেন এবং যারা ভালো কাজ করে তাদেরকে পুরষ্কৃত করে থাকেন। মাঝে মাঝে তিনি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হাতে নিয়ে দক্ষতার সাথে। সম্পন্ন করে মুনাফাও বেশি অর্জন করেন। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানটি একটি সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
জনাব আলম সাতক্ষীরা হতে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে নিজ প্রতিষ্ঠান আলম স্টোরসে পণ্যের গুণাগুণ, ওজন ও আকৃতি অনুযায়ী শ্রেণিবিন্যাস করেন। বিক্রয় কাজে সুবিধার জন্য আসাদ নামে এসএসসি পাসকৃত অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত এমন একজন বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দেন। আসাদ ক্রেতা ও ভোক্তাদের সাথে সদা হাসিমুখে কথা বলেন, কোনো কথায় বিরক্তবোধ করেন না। ভোক্তারা আসাদের মুগ্ধ। এ ছাড়া তিনি বয়স্ক নারী-পুরুষের সাথে অত্যন্ত সচেতনতার সাথে পণ্য বিক্রয় করেন। ফলে অল্প সময়ে আলম স্টোরস সফলতা লাভ করে।
জনাব সেঁজুতি ও তার কয়েকজন বান্ধবী মিলে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা জানতে যায়। তারা এমন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিল, তাদের ঋণ বিতরণের ৪০% এর বেশি এসএমই খাতে বিতরণ করতে হয়। উৎপাদন ও সেবা শিল্পে ঋণ দিতে হয় এবং সহজ শর্তে নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। তিন বছর পর অন্য একটি সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সেঁজুতি এবং তার বান্ধবীরা ৫ বছরের জন্য ৫ কোটি টাকা ঋণ নেন এবং সম্প্রসারণ করে সফলতা লাভ করেছেন।
কুষ্টিয়ার জজকোর্ট সংলগ্ন এলাকায় জনাব মেজবাহ একটি হোটেল প্রতিষ্ঠা করেন। দুপুরের খাবারে রুই ও ইলিশ মাছ একত্রে রান্না করে। ইলিশ মাছের দামে রুম মাছ এবং পোল্ট্রি মুরগির মাংস দেশীয় মুরগির দামে বিক্রয় করেন। ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে তার ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। অন্যদিকে রাজ্জাক ও তার বন্ধুরা মিলে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানে কয়েকজন স্থানীয় বেকার যুবককে নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা * করেন। প্রতিষ্ঠানটির মুনাফার একটি অংশ দিয়ে গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করেন। এছাড়া লাভের ওপর সরকারি করও প্রদান করছে। প্রাচীবর্তমানে রাজ্জাকদের প্রতিষ্ঠানটি সমাজের মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
জনাব নাজিম একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক, তিনি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন প্রণালি এমনভাবে তৈরি করেন যেন উৎপাদিত পণ্যের সংখ্যা অতিরিক্ত না হয় আবার প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। এভাবে উৎপাদন করায় প্রতিষ্ঠানটি টিকে আছে। অপরদিকে জনাব রহমান তার প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের প্রত্যেকের কাজ নির্দিষ্ট করে দেন, ব্যবসায়ের প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহে কম খরচের উৎস বিবেচনা করেন। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাগুলোও গ্রহণ করেন। ভবিষ্যতে পণ্য বৈচিত্রকরণের কথাও মাথায় রেখে উৎপাদন করেন। এজন্য বর্তমানে জনাব রহমান একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
জনাব রাজা খুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি কিছু জমি লিজ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সরিষা চাষ শুরু করেন। বাজারে সরিষার চাহিদা থাকায় তিনি লাভবান হলেন। তিনি সরিষা চাষের পাশাপাশি মৌ চাষ শুরু করেন। এতেও তিনি লাভবান হলেন। তার প্রতিবেশীরা উৎসাহিত হয়ে তারাও মৌ চাষ শুরু করেন। তাদের উৎপাদিত সরিষা ও মধু দেশের চাহিদা মেটাতে অনেকাংশে সক্ষম হন।
মালেক মিয়া একজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী। মাঝে মাঝে তিনি VAT ফাঁকি দেন। অধিক লাভের আশায় প্রচুর পেঁয়াজ মজুদ করেন। এগুলো দেখাশোনার জন্য তিনি ৪ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণের পর নিয়োগ দেন। তিনি সময়মতো তাদের পারিশ্রমিক দেন এবং স্বাস্থ্যগত ও থাকার স্থানের ব্যাপারে লক্ষ রাখেন। হঠৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তা বিক্রির সিদ্ধান্ত দেন। এমন সময় প্রশাসনিক লোক এসে তাকে ধরে নিয়ে যান।
মি. রানা একটি ইটভাটার মালিক। তাঁর প্রস্তুতকৃত ইটের গুণগত মান ভালো থাকায় চাহিদা অনেক বেশি, তবে বর্ষার মৌসুমে পরিবেশ প্রতিকূল থাকার কারণে তিনি ব্যবসার পাশাপাশি নতুন কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করলেন। কিছুদিন পর পরিবেশবাদী ও ভোক্তা আইনে লোকজন আপত্তি জানান। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে এলাকার উচ্ছৃঙ্খল ছেলেদের অর্থ দিতে হয়। এজন্য কিছু শ্রমিক কাজের প্রতি অনীহা ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ফলে তিনি ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন ।
সুজন প্লাস্টিক ফ্যাক্টরির পাশে একটি ফার্স্ট ফুডের দোকান দেন। ব্যবসায়ের গতি প্রকৃতি না বুঝে অধিক পরিমাণ পণ্য দোকানে তোলেন। এছাড়া তার ছোট ভাইয়ের বন্ধুকে ম্যানেজার হিসেবে নিযোগ দেন। কিন্তু ক্রমাগত লোকসান হওয়ায় ব্যবসায় পরিবর্তন করে মুদির দোকান দেন। সুজন ভবিষ্যতের কথা ভেবে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় 'মারা যান। চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি তার মনোনীত ব্যক্তিকে অর্থ পরিশোধ করেন।
জনাব প্রভা ও ফাহাদ উভয়ই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। প্রভা নিজে কাজ না করে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মীদের ওপর দায়িত্ব বণ্টন করেন। অন্যদিকে ফাহাদ নারী-পুরুষ কর্মীদের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি ও সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থেকে নেতৃত্ব দেন এবং তাদের যোগ্যতা, রুচি ও ব্যক্তিত্বের বিষয়টিও গরুত্ব দেন। ফলে তারা উভয়ই সফল ব্যবসায়ী।
মামুন, মাসুদসহ ৫ বন্ধু মিলে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার জনগণের নিকট বিক্রয়যোগ্য নয়। অপরদিকে মাসুদদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এ রকম ২৫ জন ব্যক্তি মিলে, 'সতেজ' নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। এ প্রতিষ্ঠানটি সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালনা করে। এছাড়া সদস্যরা একে অপরের বিপদে আপদে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। বর্তমানে ‘সতেজ' সংগঠনটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
জনাব পাভেল বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছে। তার কিছু সঞ্চিত অর্থ আছে। এখন সে দেশে কিছু করতে চায় কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় এবং ঝুঁকি থাকায় সে উৎসাহ পাচ্ছে না। অপরদিকে রমিজ উদ্দীন তার ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য আর্থিক সহায়তা পেতে এমন একটি সরকারি ব্যাংকে গিয়েছেন যেটি ৫০ হাজার থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ দেয় ও এদেশের নাগরিক হতে হবে এমন যোগ্যতা বিবেচনা করে থাকে।
শ্যামলের বাড়ির পাশের মহাসড়কে প্রতিদিন স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত সবজির পাইকারি বাজার বসে। ফলে এখানে অনেক লোকের সমাগম হয়। শ্যামল দেখলেন, এ সকল লোকের খাবারের বেশ চাহিদা আছে। তাই তিনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এবং ১১ জন দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে একটি হোটেল স্থাপন করেন। প্রথমদিকে আয় কম হলেও শ্যামলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে ব্যবসায়টির সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
সুমনের বাড়ির পাশের বিদ্যালয়ের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এলাকার একজন সফল উদ্যোক্তাকে প্রধান অতিথি করা হলো । সুমন ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য শোনে। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে কীভাবে নিজ উদ্যোগে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় সফল হয়েছেন তা বর্ণনা করেন। এ বক্তব্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সুমন তাদের দুটি পুকুরে মাছের চাষ শুরু করে। কিন্তু এ বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান না থাকায় সে লাভের মুখ দেখেনি।
মালিবাগ বাজারে রাফিন একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। ভালো মানের পণ্য সরবরাহ ও সেবার কারণে অল্প দিনেই তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেন। ব্যবসায় পরিধি বৃদ্ধি করার জন্য তিনি দুই বন্ধু মবিন ও রবিনকে নিয়ে সমানভাবে লাভ লোকসান বণ্টনের শর্তে চুক্তিবদ্ধ হন। কিছুদিন পর মবিন পারিবারিক কারণে ব্যবসায় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
জাহিদ ট্রেডার্স অস্ট্রেলিয়া থেকে সমুদ্রপথে ছোলা আমদানি করে। দেশে আনার পর ছোলা প্যাকেটজাত করে প্যাকেটের উপরে 'T' অক্ষর দুটি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি পণ্য বাজারজাত করে। প্যাকেটের উপরে তা অক্ষর দুটি ব্যবহারের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে রেজিস্ট্রেশন করে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি ভালোভাবেই চলছিল কিন্তু একবার অস্ট্রেলিয়া থেকে পণ্য আনার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে জাহাজের মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
রফিক ঢাকা থেকে পড়াশোনা শেষ করে কোনো কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই নিজের জমানো অর্থ ও বাবার কাছ থেকে কিছু অর্থ নিয়ে নিজ এলাকায় সুসজ্জিত একটি ফার্স্ট ফুডের দোকান দেন। এলাকাটি জনবহুল কিন্তু লোকজন, আর্থিক দিক থেকে দুর্বল এবং তাদের সঞ্চয়ও কম। আবার জীবনযাত্রার মানও উন্নত নয়। ফলে ব্যবসায়টি থেকে যথেষ্ট মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। ফলে বন্ধুর পরামর্শে তিনি ব্যবসায়টি অন্যত্র স্থানান্তর করেন।
মামুনের বাড়ি সিলেটের মাধবপুর গ্রামে। সে তার দুই ভাই, এক বোন, স্ত্রী ও দুইজন দক্ষ শ্রমিক নিয়ে বাড়ির পাশের একখণ্ড জমিতে একটি শিল্প স্থাপন করেন। মামুনের পুঁজি ও কাঁচামালের সমস্যা না থাকায় ব্যবসায়টি ভালোভাবে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু মামুনকে তার উৎপাদিত পণ্য অনেক দূরে নিয়ে সদরে বিক্রি করতে হয়। আবার গত বর্ষায় কারখানার সামনের রাস্তাটিরও ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ফলে উৎপাদিত পণ্য বিপণনে মামুনকে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
হাবিব একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। লক্ষ্য অর্জনের জন্য কর্মীদের যথাযথভাবে দেওয়া, দায়িত্ব বণ্টন করা, কাজের প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি সফলতা অর্জন করে। মি. হাবিব ব্যবসায়টির পরিধি বৃদ্ধি করতে চান। এজন্য তিনি একটি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার চিন্তা করছেন।
মিস নাছিমা চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে মাসকলাইয়ের ডালের বড়ি ও পাঁপড় তৈরির একটি ব্যবসায় স্থাপন করতে চান। তিনি এ শিল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি বিনিয়োগ সুযোগ-সুবিধা যাচাইসহ সংশ্লিষ্ট সকলের পরামর্শে ১০ জন মহিলা কর্মী নিয়ে ব্যবসায়টির কাজ শুরু করেন। উৎপাদিত পণ্য বিপণনে সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সাহায্যের জন্য মিস নাছিমা শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হন।
জনাব মুন্না একজন পণ্য আমদানিকারক। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে তিনি থেকে তেল আমদানি করেন এবং বেশি দাম পাওয়ার আশায় প্রচুর তেল মজুদ করে রাখেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে ৩,০০,০০০ টাকা জরিমানা করে। এ ঘটনায় তার ব্যবসায়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয় এবং ব্যবসায়টি মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হয়।
জনাব খালেক ও তার ৯ জন বন্ধু মিলে প্রাপ্য লি.' নামে একটি ব্যবসায় স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন। তারা নিবন্ধকের নিকট প্রয়োজনীয় ফি দিয়ে কাগজপত্র সংগ্রহ করেন এবং ব্যবসায় পরিচালনা করেন। অপরদিকে জনাব রেজাউল ও আরো কয়েকজন ব্যক্তি মিলে 'প্রাপ্ত লিঃ' নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের পর কার্যারম্ভ করতে বাধার সম্মুখীন হন। কিছুদিন পর তারা জনগণের নিকট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পর্যাপ্ত মূলধন সংগ্রহ করেন। বর্তমানে প্রাপ্য লিঃ এর চেয়ে প্রাপ্ত লিঃ এর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।
সবুজ ও সাইফ দুই বন্ধু ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে বন্ধন টেলিকম' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সবুজের বয়স ১৬ বছর হওয়ায় ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন না এবং কম ঝুঁকি গ্রহণ করেন। অপরদিকে সাইফ ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় মুনাফার একটি অংশ সম্মানি হিসেবে গ্রহণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুক্তিবদ্ধ হয়ে অনেক জটিল কাজ সহজে করেন। বর্তমানে সাইফ একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
জারীফ স্টিল লি. এর ব্যবস্থাপক জনাব জারীফ সিদ্ধান্ত নিলেন প্রতিষ্ঠানের মুনাফার ১০% কর্মচারীদের বোনাস হিসেবে দেওয়া হবে। এই ঘোষণায় লক্ষ্য করলেন কর্মীদের কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে মুনাফার পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনাব জারীফ সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে সঠিকভাবে কাজ আদায় করে নেন। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা অনুযায়ী কর্মীদের পারিশ্রমিক দেন এবং অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান করেন। জনাব জারীফের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জনাব রিপন তার কারখানার কর্মীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়ে যথাসময়ে আদায় করে নেন এবং কর্মীরাও সঠিক সময়ে কাজটি শৃঙ্খলার সাথে সম্পন্ন করেন। পক্ষান্তরে, জনাব সাইফুল কর্মীদের সাথে আলোচনা ছাড়াই কাজ দেন। অধীনস্থ কর্মচারীর সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি হলেই ছাঁটাই করেন। ফলে কর্মচারীরা খুব চাপের মধ্যে থাকে এবং হতাশায় থাকে। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন হ্রাস পেতে থাকে। কয়েক বছর পর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
জনাব পলাশ তার উৎপাদিত পণ্যগুলোকে ২৫০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম ও ১০০০ গ্রামের পণ্যকে আলাদা করে রাখেন এবং ক্রেতাদের চাহিদামতো সরবরাহ করেন। অপরদিকে জনাব পারভেজ তার উৎপাদিত পণ্যকে নিজস্ব স্টিকারযুক্ত গাড়িতে করে বাজারের বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করেন। এছাড়া লোকাল টেলিভিশনে সিনেমার ফাঁকে ফাঁকে প্রদর্শন করেন এবং স্থানীয় একটি পিকনিক স্পটের পাশে বড় করে পণ্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে রেখেছেন। বর্তমানে জনাব পারভেজের পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেক লোক এ কাজে সম্পৃক্ত হয়েছে।
জনাব হাসান তার প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত শিল্পপণ্য এক ধরনের মোটা কাগজ দ্বারা সুরক্ষিত রাখেন। বিক্রয় কেন্দ্রের একজন কর্মচারীর ব্যবহার খুব ভালো না হওয়ায় ক্রেতারা অন্য প্রতিষ্ঠানে যান। অপরদিকে জনাব মেজবাহ এর প্রতিষ্ঠানে এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। যেকোনো সাতটি প্রশ্নের উত্তর দাও।] উৎপাদিত পণ্য একটি শোরুমে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখেন। প্রতিষ্ঠানে রাফিন নামে এমন একজন বিক্রয়কর্মী আছেন তিনি সকলের সাথে মিষ্টি ব্যবহার করেন। প্রতিষ্ঠানে কোনো বয়স্ক বা লোক আসলে তাদের পণ্য, আগে দেন। তাছাড়া কোন কোন পণ্য কি রকম বিক্রি হচ্ছে সেটা হিসাব করে পণ্য মজুদ রাখেন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যাতে ক্রেতাদের নজরে আসে। সেগুলো সাজিয়ে রাখেন। পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের কোনো প্রশ্ন থাকলে সহজে উত্তর দেন। এসবের জন্য প্রতিষ্ঠানটির সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
করোনাকালীন লকডাউনে জনাব লালুর ‘মীরা ফ্যাশন হাউজ' বন্ধ থাকায় মূলধন আটকিয়ে যায়। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের উচ্চমূল্যে তাকে ভাবিয়ে তুলেছে। তখন নিজ প্রচেষ্টায় মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ ইত্যাদি তৈরি করে স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করেন পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিক্রয় বৃদ্ধির সাথে প্রচুর মুনাফাও অর্জন করেন। এছাড়া কোমল পানীয় এর বোতল দ্বারা জীবাণুনাশক স্প্রে তৈরি করেন। এসব পণ্যের ব্যপক চাহিদা থাকায় বিক্রয় বৃদ্ধির সাথে ব্যপক মুনাফাও অর্জিত হয়।
জনাব আলী গ্রামের কৃষকদের নিকট থেকে বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্রয় করে ক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করেন। ক্রেতারা টাটকা সবজি ক্রয় করতে পেরে খুশি হন। কিন্তু নিজস্ব পরিবহন সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ক্রেতাদের চাহিদামতো সবজি সরবরাহ করতে পারেন না। ফলে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তিনি ব্যবসায়ের কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছেন।
মি. আলমাস কাপড়ের ব্যবসা করেন। তার প্রতিষ্ঠানে ১০জন কর্মী আছে। তিনি কর্মীদের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছেন। কর্মীরা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো একে অপরের সাথে আলোচনাসাপেক্ষে যথাযথভাবে পালন করেন। কিন্তু মাঝে মাঝে কর্মীরা কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। বিষয়টি উপলব্ধি করে তিনি আরও পাঁচজন কর্মী ও বছরে ৪টি বোনাস দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ফলে কর্মীরা আগ্রহ নিয়ে দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হয়।
চট্টগ্রামের মি. শাহিন আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে এইচএসসি পাসের পর উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেননি। তিনি পরিবারের ভরণপোষণের নিমিত্তে বাড়ির পাশের হালদা নদী থেকে চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা শুরু করলেন। তাঁর আহরিত রেণু চিংড়ির মান ভালো হওয়ায় চিংড়ি চাষিদের কাছে এই রেণুর চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে সব ক্রেতার অভার গ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না বিধায় তিনি হ্যাচারি স্থাপনপূর্বক তাঁর কার্যক্রমকে বেগবান এবং প্রসারিত করার জন্য একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হন।
মি. ইলিয়াস একজন পোশাক ব্যবসায়ী। তাঁর ব্যবসায়ের পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ সহায়তা নিলেন। এতে তাঁর উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেল। তিনি উৎপাদিত পোশাক দেশের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে লাগলেন। কিন্তু বর্তমানে ধর্মঘটসহ শ্রমিক অসন্তোষের কারণে পোশাক উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
নাসিমা বেগম স্বামীর মৃত্যুর পর একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পিঠা তৈরির উপর প্রশিক্ষণ নেন। তিনি আর্থিক প্রয়োজনে দেশীয় পিঠা তৈরি করে স্থানীয় দোকান ও সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরবরাহ করেন। তাঁর তৈরি পিঠা ও নাস্তা মুখরোচক ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এজন্য তিনি গ্রামের হতদরিদ্র ৫ জন মহিলাকে প্রশিক্ষিত করে আগের চেয়ে বেশি পিঠা তৈরি করে সরবরাহ করতে লাগলেন। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও অন্যান্য সংস্থার সুযোগ পেলে তিনি বড় পরিসরে একটি পিঠা তৈরির কারখানা স্থাপন করে অবহেলিত মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবেন।
অল্প শিক্ষিত তুষার কম্পোজ, ফটোকপি, মোবাইল রিচার্জের একটি দোকান চালু করেন। প্রতিষ্ঠানটি স্কুল, কলেজ এবং উপজেলা পরিষদের কাছে হওয়ায় দোকানে দিন দিন লোক সমাগম বাড়তে থাকে। তাই তিনি দোকানের জন্য আরও দুটি কম্পিউটার, একটি ফটোকপি ও একটি ডিজিটাল ক্যামেরা কিনেন। সেই সাথে তিনি দোকানে আরও কর্মচারী নিয়োগ দেন। তাঁর ব্যবসায়ের সফলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এমবিএ পাস জনাব পরাগ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বাবার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ঘরের ছাদে ছোট পরিসরে কোয়েল পালন শুরু করেন। প্রথম বছরে তিনি কোনো লাভের মুখ দেখেননি। তারপরও তিনি দমে না গিয়ে সাহস ও একাগ্রতার সাথে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। বর্তমানে তাঁর খামারে ২০ জন কর্মচারী কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এ বাচ্চা এবং ডিম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি হয়। জনাব পরাগকে দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক উদ্বুদ্ধ হয়ে কোয়েল পালন শুরু করেন। ২০২০ সালে জনাব পরাগ সেরা খামারির পুরস্কার পেয়েছেন।
বগুড়ায় ২৫ জন কৃষক নিজেদের আর্থিক উন্নয়ন, কল্যাণ, সমঅধিকার এবং পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার জন্য একটি 'সোনালী কৃষি সমিতি' গঠন করেন। এই সমিতি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ভোটের মাধ্যমে ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই সংগঠন গড়ে তোলার ফলে সদস্যদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধিত হয়।
উচ্চ শিক্ষিত মি. মুসা 'নন্দিনী ড্রেস হাউস' নামে একটি দেশীয় পোশাক তৈরির কারখানা স্থাপন ও পরিচালনা করেন। তিনি কর্মীদের চাহিদা ও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে আন্তরিক হলেও কর্মীরা যেন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করেন এ ব্যাপারে কঠোর হতে পিছপা হন না। প্রতিষ্ঠানের যেকোনো বিষয়ে কর্মীদের সাথে আলোচনা করলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সবসময় নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেন। অন্যদিকে রুহি ফ্যাশন হাউস এর মালিক মি. নয়ন তার কর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেন।
মি. আনোয়ার ‘রাতুল গার্মেন্টস' এর ব্যবস্থাপক। কাজের ধরন অনুযায়ী। আলাদাভাবে দক্ষ কর্মী কর্মীদের কাজের তদারকির জন্য একজন বিশেষজ্ঞ সহকারী ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে বিভিন্ন বিভাগ ভাগ করে দেন। আবার সকল বিভাগকে উপরিভাগের সাথে সংযুক্ত করে দেন। মাঝে-মধ্যে মি.. আনোয়ার কর্মীদের কাজের অগ্রগতির খবরাখবর নিয়ে থাকেন। অনেকের কাজে খুশি হয়ে তিনি পুরস্কৃতও করে থাকেন। এতে কর্মীরা তাদের দায়িত্ব সুচারুরূপে পালনে আরও উদ্বুদ্ধ এবং আন্তরিক হন। ফলে সমসাময়িক অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে তার প্রতিষ্ঠান আশাতীত মুনাফা লাভে সক্ষম হচ্ছে।
স্থানীয় বাজারের নাহিদ ফার্মেসিতে প্রায়শই ক্রেতাদের ভিড় থাকে। এই ফার্মেসিতে 'জীবন' ও 'সুমন' নামে ২ জন কর্মরত আছেন। জীবন ক্রেতাদের সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তবে অনেক সময় ক্রেতারা তাদের সাথে খারাপ আচরণের জন্য সুমনের নামে অভিযোগ করেন। এছাড়া পুরাতন ও নতুন ক্রেতাদেরকে স্থায়ী ক্রেতায় পরিণত করতে তারা সদা তৎপর থাকেন। তাই আশেপাশের অন্যান্য ফার্মেসির তুলনায় এই ফার্মেসিতে বিক্রয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জনাব মামুন এম.বি.বি.এস পাস করেন। সরকারি চাকরির জন্য বসে না থেকে তিনি একটি চেম্বার খুলে সেখানে রোগী দেখতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি রোগ নির্ণয়ের জন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালুর ইচ্ছা পোষণ করেন। পর্যাপ্ত অর্থের অভাব হলে তার বন্ধু জনাব সাদিক তাঁকে সহায়তা করতে পারে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে যেতে বলেন। তিনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যন্ত্রপাতি সুরক্ষায় একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।
জনাব কামাল একটি স্কুলের পাশে ছোট্ট দোকানে লুঙ্গি বিক্রয়ের কাজে বড় ভাইকে সাহায্য করতেন। স্কুল ড্রেসের ব্যাপক চাহিদা মাথায় রেখে আরেকটি দোকান নিয়ে জনাব কামাল লুঙ্গির পাশাপাশি অন্যান্য কাপড়ও রাখেন। নিজের জমানো অর্থ ও কিছু টাকা ধার করে মূলধন গঠন করেন। শুরুতে তেমন সাড়া না পেয়ে হতাশ হলেও দিনরাত পরিশ্রম, ন্যায্য দাম আর সততার মাধ্যমে এক সময় ঘুরে দাঁড়ান। বর্তমানে তিনি নিজেই কাপড় তৈরি কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী।
রবিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকায় কোথাও চাকরি না পেয়ে মায়ের সামান্য জমানো টাকায় 'মিল্ক পয়েন্ট' নামে খাঁটি দুধ ও ডিম বিক্রির দোকান স্থাপন করেন। পর্যায়ক্রমে এতে সে নিজের হাতে তৈরি মশলা, আটা, মধু ইত্যাদি বিক্রি করতে শুরু করেন। খাটি ও পুষ্টিকর পণ্যের নিশ্চয়তা থাকায় অল্পদিনেই তার ব্যবসায় জমজমাট হয়ে মুনাফা অর্জনে সমর্থ হয়। কাজের সুবিধার জন্য তিনি কর্মচারী নিয়োগ দেন। তার দেখাদেখি এলাকায় আরও কিছু যুবক নিজেদেরকে এ ধরনের কাজে নিয়োজিত করেন।
নিজের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরির চিন্তা মাথায় রেখে জনাব হাবিব নিজ গ্রামের বাজার সংলগ্ন স্কুলের পাশে একটি কুটিরশিল্পের দোকান স্থাপন করেন। তিনি যে সকল পণ্য বাজারজাতকরণে আগ্রহী উক্ত পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা নিরূপণ ও কর্ম বাছাইয়ের বিষয়টি বাজার জরিপের সাহায্যে সম্পাদন করেন। কিছুদিন পর তিনি লক্ষ করলেন পণ্যের বিক্রির পরিমাণ অ্যন্ত কম। অনুসন্ধান করতে জানতে পারলেন, তার উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান অত্যন্ত নিম্নমানের। ব্যবসায়ে গতিশীলতা আনয়নের জন্য কর্মীদের একটি প্রতিষ্ঠানে হাতে কলমে শেখার ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
জনাব মামুন এম.বি.বি.এস পাস করেন। সরকারি চাকরির জন্য বসে না থেকে তিনি একটি চেম্বার খুলে সেখানে রোগী দেখতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি রোগ নির্ণয়ের জন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালুর ইচ্ছা পোষণ করেন। পর্যাপ্ত অর্থের অভাব হলে তার বন্ধু জনাব সাদিক তাঁকে সহায়তা করতে পারে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে যেতে বলেন। তিনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যন্ত্রপাতি সুরক্ষায় একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।
জনাব কামাল একটি স্কুলের পাশে ছোট্ট দোকানে লুঙ্গি বিক্রয়ের কাজে বড় ভাইকে সাহায্য করতেন। স্কুল ড্রেসের ব্যাপক চাহিদা মাথায় রেখে আরেকটি দোকান নিয়ে জনাব কামাল লুঙ্গির পাশাপাশি অন্যান্য কাপড়ও রাখেন। নিজের জমানো অর্থ ও কিছু টাকা ধার করে মূলধন গঠন করেন। শুরুতে তেমন সাড়া না পেয়ে হতাশ হলেও দিনরাত পরিশ্রম, ন্যায্য দাম আর সততার মাধ্যমে এক সময় ঘুরে দাঁড়ান। বর্তমানে তিনি নিজেই কাপড় তৈরি কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী।
রবিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকায় কোথাও চাকরি না পেয়ে মায়ের সামান্য জমানো টাকায় 'মিল্ক পয়েন্ট' নামে খাঁটি দুধ ও ডিম বিক্রির দোকান স্থাপন করেন। পর্যায়ক্রমে এতে সে নিজের হাতে তৈরি মশলা, আটা, মধু ইত্যাদি বিক্রি করতে শুরু করেন। খাটি ও পুষ্টিকর পণ্যের নিশ্চয়তা থাকায় অল্পদিনেই তার ব্যবসায় জমজমাট হয়ে মুনাফা অর্জনে সমর্থ হয়। কাজের সুবিধার জন্য তিনি কর্মচারী নিয়োগ দেন। তার দেখাদেখি এলাকায় আরও কিছু যুবক নিজেদেরকে এ ধরনের কাজে নিয়োজিত করেন।
নিজের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরির চিন্তা মাথায় রেখে জনাব হাবিব নিজ গ্রামের বাজার সংলগ্ন স্কুলের পাশে একটি কুটিরশিল্পের দোকান স্থাপন করেন। তিনি যে সকল পণ্য বাজারজাতকরণে আগ্রহী উক্ত পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা নিরূপণ ও কর্ম বাছাইয়ের বিষয়টি বাজার জরিপের সাহায্যে সম্পাদন করেন। কিছুদিন পর তিনি লক্ষ করলেন পণ্যের বিক্রির পরিমাণ অ্যন্ত কম। অনুসন্ধান করতে জানতে পারলেন, তার উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান অত্যন্ত নিম্নমানের। ব্যবসায়ে গতিশীলতা আনয়নের জন্য কর্মীদের একটি প্রতিষ্ঠানে হাতে কলমে শেখার ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
জনাব নাফিজ স্বাধীনচেতা মানুষ। তিনি একটি সুপারশপ পরিচালনা করেন। তিনি নিজে এতে কাজ করেন এবং তাকে সহায়তার জন্য কয়েকজন কর্মচারীও নিযুক্ত। করেছেন। ব্যবসায়ের সম্প্রসারণের প্রয়োজনে তিনি তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কের আলোকে একটি ব্যবসার প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে ব্যবসায়টি অল্পদিনেই লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
জনাব শাকিল ও তার কয়েকজন বন্ধু এমন একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন যার শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয়। ব্যবসায়ের দেনা পরিশোধের জন্য ব্যক্তিগত সম্পদ দায়বদ্ধ থাকে না। পরবর্তীতে তারা ন্যূনতম তিনজন পরিচালক থাকতে হয় এমন একটি নতুন ব্যবসায় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যম প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করেন।
সুনন্দা বেকার্স এর মালিক সুভাষ বেকারি ব্যবসায়ে নতুন। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করেছেন। তিনি বিস্কুট, কেকসহ নানা খাদ্যসামগ্রীর কারিগর নিয়োগ দিয়েছেন এবং কারখানাও স্থাপন করেছেন। কিন্তু কে, কোথায়, কখন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত থাকবে তা নির্ধারণ করে না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের মুখে পড়ে। কর্মীদের উৎসাহ দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন।
জনাব রানা একজন আদর্শ কৃষক। তিনি তার খামারে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করেন। উৎপাদন বেশি হওয়ার প্রেক্ষিতে চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় তিনি তার উৎপাদিত সবজির ন্যায্যমূল্য পান না। এজন্য তিনি তার উদ্বৃত্ত সবজি সারা বছর ধরে সংরক্ষণ ও বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন। চাহিদা বৃদ্ধির আশায় তিনি কিছু সবজি স্থানীয় জনগণের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
জনাব রিয়াদের পোশাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে একজন বিক্রয়কর্মী ক্রেতাদের ব্যবহারে অল্পতেই রেগে নারী ক্রেতাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করে। ফলে দিন দিন বিক্রয় কমে যাচ্ছে এবং প্রত্যাশিত মুনাফা হচ্ছে না। এ অবস্থার অবসানে তিনি ক্রেতাদের মনোভাব ও আচরণ বুঝে মিশতে পারে এমন একজন স্বাস্থ্যবান, শিক্ষিত নতুন বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দেন। ফলে তার বিক্রয় বাড়তে থাকে।
স্বদেশি পণ্য কিনে হউন ধন্য' এর উপর ভিত্তি জনাব কেরামত মোল্লা উত্তরাধিকারে প্রাপ্ত তাঁতের শাড়ির ব্যবসায়টি পরিচালনা করছেন। গতানুগতিক ডিজাইন পরিহার করে শাড়ির গুণগত মান ও ডিজাইনে নতুনত্ব আনার তার এক বন্ধুর পরামর্শে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ব্লক বাটিকের উপর কোর্স সমাপ্ত করেন। অনুকূল পরিবেশ বিরাজমান থাকায় ব্যবসায়ে আশাতীত সাফল্য লাভ করেন।
একটি সরকারি সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে রহিমা ব্যক্তিগত কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রামের কয়েকজন মহিলাকে কাজে লাগিয়ে একটি গরুর খামার স্থাপন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিবেশী শামীমাও রহিমাকে অনুসরণ করে নিয়ে নিজের জমানো টাকা ও কিছু ঋণ নিয়ে ১০টি সেলাই মেশিন ক্রয় করেন ও ১০ জন কর্মী নিয়ে একটি টেইলারিং দোকান দেন। ব্যবসায়ে মুনাফা ও ঝুঁকি তিনি একাই বহন করেন। তার সুদক্ষ কর্মপ্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে পরবর্তীতে তিনি ‘শামীমা ফ্যাশন হাউজ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সক্ষম হন।
নিজের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরির চিন্তা মাথায় রেখে জনাব হাবিব নিজ গ্রামের বাজার সংলগ্ন স্কুলের পাশে একটি কুটিরশিল্পের দোকান স্থাপন করেন। তিনি যে সকল পণ্য বাজারজাতকরণে আগ্রহী উক্ত পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা নিরূপণ ও কর্মী বাছাইয়ের বিষয়টি বাজার জরিপের সাহায্যে সম্পাদন করেন। কিছুদিন পর তিনি লক্ষ করলেন পণ্যের বিক্রির পরিমাণ অত্যন্ত কম। অনুসন্ধান করে জানতে পারলেন, তার উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান অত্যন্ত নিম্নমানের। তাই ব্যবসায়ে গতিশীলতা আনয়নের জন্য কর্মীদের সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে হাতে কলমে শেখার ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
বিদেশ ফেরত রফিক, শফিক, করিম তিন বন্ধু সমঝোতার মাধ্যমে একটি ব্যবসায় স্থাপন করেন। প্রথম বছরে ব্যবসায়ে ভালো মুনাফা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে রফিক সিদ্ধান্ত নেন, তিনি বিদেশে স্থায়িভাবে বসবাস করবেন এবং বিষয়টি শফিক ও করিমকে জানিয়ে দেন। ফলে ব্যবসাটির বিলোপসাধন ঘটে। পরবর্তীতে শফিক ও করিম প্রচুর মুনা লাভের আশায় নতুন আরেকটি ব্যবসায় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে জনগণের মাঝে উচ্চ হারে সুদের ঋণের পরিবর্তে শেয়ার বিক্রয় করে মূলধন সংগ্রহ করবেন। আর ইচ্ছা হলেই বিলোপ ঘটানো যাবে না।
'লোটাস' মোটরগাড়ি শো-রুমের মালিক। তিনি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চীন থেকে আমদানি করে তার শো-রুমে মোটর সাইকেল তৈরি করে। বিক্রি করেন। অন্যদিকে 'ওমেগো' ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি বর্তমানে সর্বোচ্চ মুনা প্রতিষ্ঠান, দেশের সর্বত্র ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালনা করছে এবং এই ডিলারগণ তাদের নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে বিভিন্ন অবস্থিত দোকানগুলোতে তৈরিকৃত পণ্য সরবরাহ করে। শহরে অবস্থিত দোকানগুলোতে তৈরিকৃত পণ্য সরবরাহ করে।
বেকার যুবক মুশফিক তার নিজ গ্রামে পরিত্যক্ত একটি পুকুরে হ্যাচারি ব্যবসায় শুরু করে। সুলভ মূল্যে উন্নত পোনার জন্য অন্যান্য স্থান থেকেও অনেক পাইকারি পোনা বিক্রেতা তার হ্যাচারিতে আসতে শুরু করে। সুদক্ষ পরিকল্পনা ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে সে তার ব্যবসায়কে আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে নিজেদের বাড়ির একপাশের জমিতে একটি মুরগির খামার গড়ে তোলে। খামার দেখাশোনা করার জন্য সে প্রায় ১০ জন যুবককে নিয়োগ দেয়। বর্তমানে মুশফিক একজন সফল ব্যবসায়ী এবং তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রামের অন্যান্য যুবকরাও তাকে অনুসরণ করছে।
জনাব আশিফ ময়মনসিংহে নতুন বাজারে অবস্থিত একটি শপিং মলের স্বত্বাধিকারী। তিনি বছরের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানের মুনাফা সর্বোচ্চকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন। একজন সুপারভাইজারের দায়িত্বে বিভিন্ন বিভাগকে এমনভাবে ভাগ করেন যাতে প্রত্যেক কর্মচারী একে অপরের সাথে সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। কিছুদিন পর দেখা গেল তার প্রতিষ্ঠানটি কাঙ্ক্ষিত ফল লাভে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই তিনি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন কিছু লোক নিয়োগদানের ব্যবস্থা করেন।
রাফিদ, রাশিক ও রাকিব মৌখিক সমঝোতার ভিত্তিতে দেশ এন্টারপ্রাইজ' নামক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। ব্যবসায় শুরুর কিছুদিন পরে রাকিবের মৃত্যু হলে তার ১৫ বছরের সন্তান সানিকে সমঝোতার ভিত্তিতে ব্যবসার আওতায় নিয়ে আসা হয়। অন্যদিকে ‘সতেজ এন্টারপ্রাইজের মালিক রিমন 'দেশ এন্টারপ্রাইজ' হতে ১৫,০০০ টাকা পণ্য বাকিতে ক্রয় করে কিন্তু বার বার তাগাদা সত্ত্বেও পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করছে। এই কারণে এন্টারপ্রাইজ', 'সডেজ এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে পাওনা পরিশোধের জন্য -মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রশীদ ত্রয়ী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ' এর বিপণন ব্যবস্থাপক। তার প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত গুণে ও মানে উন্নত হওয়া সত্ত্বেও চাহিদা কম। তাই তিনি জরিপ করেন। ক্রেতাদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারলেন অন্যান্য প্রসাধীন সামগ্রীর গল্প, রং, আবৃত্ত কাগজটি তাদের বেশি আকৃষ্ট করে। তাই তার পণ্যসামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ের পরিধি বৃদ্ধির জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার সাহায্য নেন এবং পোস্টারিং-এর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
'মাইশা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপক জনাব মহসিন প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুনের ব্যাপারে উদাসীন। তিনি কর্মীদের কাজ দিয়ে নিশ্চুপ থাকেন। ফলে কর্মীদের স্বেচ্ছাচারিতা মনোভাব দেওয়ায় কাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রথমদিকে সমস্যা হলেও পরে দেখা গেল কর্মীদের কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। কর্মীদের উপর নির্ভর না করে জনাব মহসিন। নিজেই নিরলসভাবে কাজ করছেন। তাছাড়া তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কোন কাজের জন্য কে উপযুক্ত তা বাছাই করে দায়িত্ব বণ্টন করছেন। বর্তমানে কর্মীরা তার প্রতি সন্তুষ্ট এবং প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ও মুনাফার পরিমাপও বৃদ্ধি পেয়েছে।
জনাব শামীম নরসিংদীর বিভিন্ন লুঙ্গি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে লুঙ্গি ক্রয় করে ভৈরব, আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিভিন্ন দোকানে বিক্রয় করেন। আমাদের দেশের লুঙ্গির চাহিদা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থাকায় তিনি তথ্য সংগ্রহ করে ভারত, থাইল্যান্ড ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে লুঙ্গি শুরু করেন। এ কাজে সহায়তার জন্য তিনি ১০ জন কর্মী নিয়োগ দেন। ফলে তার ব্যবসায়ের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পায়।
জনাব অমিত নারায়ণগঞ্জে হোসিয়ারি পণ্য তৈরির একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠানে ২০০ জন লোক নিয়োগ দেন। তার শিল্পে উৎপাদিত পণ্য নৌপথে সহজেই বিদেশে পাঠাতে পারে। পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জনাব অমিত নিয়মিত কর মওকুফের সুবিধা পেয়ে থাকেন। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কারণে তাদের পণ্যের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পায়। তাই অধিক পণ্য উৎপাদনের জন্য আরও ৫০০ জন লোক নিয়োগ দেওয়া হয় এবং শিল্পকারখানা সম্প্রসারণ করা হয়।
মাসুম ও তার ৩০ জন বন্ধু মিলে আইন অনুযায়ী 'সুমন ট্রেডার্স' নামে একটি ব্যবসায় স্থাপন করেন। এ ব্যবসায়ের সদস্যগণের দায় সীমিত এবং এটি জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রয় করতে পারে না। পরবর্তীতে তারা প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে ব্যবসায়ের স্থান পরিবর্তন করেন এবং বৃহৎ পরিসরে ব্যবসায় শুরু করেন। ফলে তাদের ব্যবসায়ে দেশের বহু মানুষের কাজের ব্যবস্থা হয়। তারা জনসাধারণের কাছে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে নতুন ব্যবসায়ের জন্য মূলধন সংগ্রহ করেন ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয় নগরের মি. রমিজ উন্নত জাতের আম, পেয়ারা, মালটা প্রভৃতি চারা উৎপাদন করে বিক্রি করেন। তিনি চারা উৎপাদনের পূর্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সহায়তায় জমির মাটি চারা উৎপাদনের উপযোগী এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক পলিপেপার ব্যবহারের মাধ্যমে অতি রোদ-বৃষ্টি, শীত ও কুয়াশা থেকে চারাগুলোকে সুরক্ষার কৌশল অবলম্বন করেন। ফলে তার প্রচুর মুনাফা অর্জিত হচ্ছে। এই বছর জমি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে চারা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে তিনি মূলধন সংকটে পড়েন। তিনি ব্যাংক হতে ২% সুদে দুই লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে মূলধন সংকট নিরসন করেন।
জনাব রহমত একজন ইলেকট্রনিক সামগ্রী উৎপাদনকারী। তিনি তাঁর উৎপাদিত পণ্যের ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও চিত্র বিজ্ঞাপন হিসেবে দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার করেন। তিনি উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের জন্য নিচের বণ্টনপ্রণালি অনুসরণ করেন :
ক-প্রক্রিয়া: উৎপাদনকারী → পাইকার → ভোক্তা
খ-প্রক্রিয়া : উৎপাদনকারী → প্রতিনিধি বা এজেন্ট → ভোক্তা
গ-প্রক্রিয়া: উৎপাদনকারী → প্রতিনিধি বা এজেন্ট → ভোক্তা → খুচরা বিক্রেতা
মি. আলম একজন ব্যবস্থাপক। তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সাথে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করে তাঁদের মতামতের মূল্যায়ন করেন। ফলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের মান বেড়েছে। তবে কিছুদিন থেকে কর্মীদের মাঝে অবাধ্যতা দেখা দেওয়ায় তিনি নেতৃত্বের ধরনে পরিবর্তন আনার চিন্তা করছেন। তিনি মার্জিত ব্যবহার ও সম্মোহনী ক্ষমতার দ্বারা সাহস ও সততার সাথে কর্মীদের অসন্তোষ দূর করার চেষ্টা করছেন।
আদনান নদীর পাশে একটি সার কারখানা স্থাপন করেন। কিন্তু কারখানার কালোধোঁয়া ও বর্জ্য যথাযথভাবে নিষ্কাশন না করে নদীতে ফেলেন। ফলে বায়ু ও নদীর পানি দূষিত হয়ে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে এবং ক্রমেই পানি ব্যবহারের অযোগ্য হচ্ছে। স্থানীয় পত্রিকায় উক্ত নদী দূষণের উপর একটি প্রতিবেদন পড়ে আদনান বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।
অমল এবং কমল দুই বন্ধু পারস্পরিক মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে পদ্মা ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করেন। তারা চুক্তি অনুযায়ী মূলধন আনবে এবং মুনাফা বণ্টন করবে। কিন্তু অমল কোনো কাজের জন্য তৃতীয় পক্ষের নিকট দায়বদ্ধ থাকবেনা বলে জানিয়ে দেয়। আর্থিক সংকটে পড়ে পদ্মা ট্রেডার্স মহানন্দা ট্রেডার্সের নিকট থেকে বাকিতে পণ্য ক্রয় করে কিন্তু সঠিক সময়ে অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে পদ্মা ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।
জনাব শামীম জুতা প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক। কারখানায় তিনি উন্নতমানের বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা তৈরি করেন। কারখানায় তৈরিকৃত জুতা বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি শো-রুম চালু করেন। ফলে ক্রেতারা সরাসরি শো-রুম থেকে জুতা কিনতে পারে। তিনি পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য পণ্যের মান, ডিজাইন, মূল্য, ব্যবহার বিধি ইত্যাদি তুলে ধরে বৈদ্যুতিক নিয়ন আলো ব্যবহার করে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করেছেন।
“স্বদেশি পণ্য কিনে হন ধন্য” এর উপর ভিত্তি করে জনাব তোহুরুল “মর্ডান সিল্ক শাড়ির” ব্যবসায়টি পরিচালনা করেন। গতানুগতিক ডিজাইন পরিহার করে শাড়ির গুণগতমান ও ডিজাইনে নতুনত্ব আনার জন্য যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ব্লক-বাটিকের উপর কোর্স সমাপ্ত করেন। তিনি তাঁর উৎপাদিত শাড়িগুলো ঢাকায় বাজারজাতকরণ করতে চান। এ কাজে তার পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন হয়।
'আশা ও দীশা' স্টোরের মালিক, জনাব সাইফুল নিজের এলাকার বাজারে সুনামের সাথে ব্যবসায় পরিচালনা করছেন। তার ব্যবসায়ের সকল কাজ তিনি নিজে দেখাশুনা করেন, কিন্তু ব্যবসায়ের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু কর্মী নিয়োগ দেন। কর্ম নিয়োগেও তিনি সচেতন ছিলেন। কাঁচামাল সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণসহ সবধরনের কাজ করেন এবং একজন ম্যানেজারও নিয়োগ দেন। ম্যানেজার মালিকের নির্দেশনায় সকলের কাজ ভাগ করে দেন এবং তদারকি করেন। জনাব সাইফুল তাদের কাজের এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর মাও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা কোই সাহেবের পর প্রতিষ্ঠানটি সাদা প্রতিষ্ঠানে পরি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের পাশে জনাব আকতার নিজস্ব মূলধন দিয়ে একটি কম্পিউটার ও ফটোকপি দোকান দেন। তিনি ফটোকপি দোকানের পাশাপাশি লাইব্রেরি স্থাপনের চিন্তা করেন। পরবর্তীতে তারা ভিম বন্ধু একত্রিত। হয়ে সমহারে মূলধন সরবরাহ, লাভ-লোকসান বণ্টনের ভিত্তিতে পারস্পরিক সমঝোতায় 'ফ্রেন্ডস লাইব্রেরি' নামে নতুন একটি ব্যবসায় স্থাপন করেন। অল্পদিনের মধ্যেই তাদের ব্যবসায়টি সফলতা অর্জন করে।
রামিসা আনান টিভিতে মডেল হিসেবে কাজ করেন। তিনি মনে করেন নতুন নতুন পণ্য ও সেবাসামগ্রী ক্রয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য এবং বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য তার এই কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। সামিহা জানান একটি বৃহদাকার শপিংমলে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন। ক্রেতাদের সাথে সুন্দর আচরণ, আত্মবিশ্বাস, শিক্ষা ও ইত্যাদি কারণে সামিহার বিক্রয়ও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জনাব একজন প্রভাষক। তিনি তাঁর এলাকার জনগণকে সাহিত্যে উৎসাহিত করার জন্য একটি পাঠাগার স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অপরপক্ষে, তাঁর বন্ধু সাজু যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পোল্ট্রি ও ডেইরি ফিড তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন। এতে অনেক লোকের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এখন সে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ।
জনাব মনির একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যবসায়ের সবধরনের উপকরণকে তিনি যথাযথভাবে কাজে লাগান। তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কাজের ছক পূর্বেই তৈরি করেন এবং সে অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করেন। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে একবার মূলধনের ঘাটতি দেখা দিলে, তিনি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের ব্যবস্থা করেন। তিনি উক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির একজন সদস্য।
উচ্চ শিক্ষিত ইব্রাহীম সাহের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি প্রাপ্তিতে ব্যর্থ হন। অনেকদিন বেকার থাকার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ও কম্পিউটার চালনায় প্রশিক্ষণ কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করেন। তারপর বুড়িচং উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে 'মা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার' নামে। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জুয়েল নামে একজন কর্মচারীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিয়োগ নেন। ফলে জুয়েলের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারসহ অন্যান্য সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
জনাব মাহবুব একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যবসায়ের কর্মীদের সাথে যে কাজ করার আগে মতামত ও সরাসরি অংশগ্রহণ আশা করেন। তিনি তার কর্মীদের সুবিধা-অসুবিধা যেমন দেখেন তেমনি তাদের কাজের জবাবদিহিতাও নেন। এতে তার ব্যবসার উন্নতি সাধিত হয়। অপরদিকে জনাব রবিন তার কর্মীদের মতামত এমনকি তাদের কাজের প্রতি বিশ্বাসও রাখেন না। তিনি তার সিদ্ধান্তেই সর্বদা অটল ও অবিচল থাকেন। এতে তার কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পায়।
সিলেটের মিসেস শাপলা নিজস্ব তাঁতে মনিপুরি শাড়ি ও শাল তৈরি করেন এবং ২টি পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করেন। ঈদ ও পূজাকে সামনে রেখে তিনি আরও কয়েকটি জেলায় পণ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেন । এজন্য তিনি ব্যাংক এবং লিজিং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যাংক ঋণ প্রদানের অপারগতা প্রকাশ করে। লিজিং কোম্পানিও ঈদ ও পূজার আগে পিকআপ ভ্যান লিজ দিতে পারবে না বলে জানায়। তাই কয়েকটি জেলার পরিবর্তে পার্শ্ববর্তী ৩ জেলায় পণ্য সরবরাহের চেষ্টা শুরু করেন।
মি. X এমবিএ পাস করার পর তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ভাবছিলেন। তার পরিবারের ইচ্ছা বিদেশে ভালো চাকরি করার। কিন্তু সে নিজ দেশেই কিছু করতে চায়। এ জন্য সে সমন্বিত মাছ চাষ ও পোল্ট্রি খামারের উপর ৩ মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এতে তার মনোবল বহুগুণ বেড়ে যায়। সে বাড়ির পাশে নিজ জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ এবং এর সাথে হাঁস-মুরগির খামার প্রতিষ্ঠা করে। এই কাজে তার প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান প্রয়োগ করে নিজের চেষ্টায় আজ সে স্বাবলম্বী। তার প্রতিষ্ঠিত খামারে বহুলোকের কর্মসংস্থান যেমন হয়েছে তেমনি তার কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার অনেকেই এ কাজে এগিয়ে আসছে।
জনাব আকাশ একজন বিদেশ ফেরত যুবক। এ জন্য তিনি হবিগঞ্জ সরকারি কলেজ গেইটে স্বল্প পুঁজি নিয়ে একটি ফোন-ফ্যাক্স ও ফটোস্ট্যাটের দোকান- দেন। নিজে ফটোকপি এবং ব্যবসায় পরিচালনা করেন। প্রচুর চাহিদ থাকায় তিনি একটি কম্পিউটার ও প্রিন্টার ব্রুয় এবং একজন কর্মচারী নিয়োগক করেন। এতে তার ব্যবসায়ের আরও প্রসার ঘটে।
জনাব জামাল সাহেব ও তাঁর ৬ বন্ধু মিলে নারায়ণগঞ্জে একটি প্তানিমুখী তৈরির কারখানা স্থাপন করলেন। প্রতিষ্ঠানটিতে তারা ৫০ নিতে পারবেন। বায়িং হাউজের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে ২ বছর পর দেখা যায় তাদের অর্ডারের পরিমাণ দ্বিগুণ। প্রয়োজনীয় মূলধনের জন্যে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে তারা মূলধন সংগ্রহে আগ্রহী। এ পরিবর্তনে তারা উদ্যোগ নিলো।
জনাব ফারহান স্বল্প অর্থ নিয়ে নিজের উদ্যোগে 'ফিশ অ্যান্ড ফিডস' নামে মাছের হ্যাচারি চালু করেন। অল্প দিনের মধ্যেই চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আত্মীয়-স্বজন এবং ব্যাংক থেকে খল নিয়ে তাঁর হ্যাচারির পরিধি বাড়ায়। জনাব ফারহানের ব্যবসায়ের সহজতা দেখে ঢাকায় কর্মরত তার ছোট ভাই আহমেদ জনাব ফারহানের সাথে সামান মূলধন বিনিয়োগ করে একটি লেয়ার মুরগির ফার্ম চালু করেন। জনাব ফারহান এককভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করলেও চুক্তি অনুযায়ী আহমেদ মাস শেষে লাভের অংশ নিয়ে যান।
জনাব সামাদ চীন থেকে মোবাইল ক্রয় করে এনে ঢাকায় নিজস্ব শো-রুমে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেন। পণ্য ক্রয়ের অর্থ তিনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করেন। প্রচুর পরিমাণে মোবাইল ক্রয় করায় তিনি তার শো-রুমের পাশেই একটা গোডাউন ভাড়া নেন। বিদেশ থেকে পণ্য আনার ঝুঁকি নিরসনে তিনি পদক্ষেপ নেন। ক্রেতার কাছে পণ্যকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনের ব্যবস্থাও গ্রহণ করেন।
জনাব কামাল একটি স্কুলের পাশে ছোট দোকানে লুঙ্গি বিক্রয়ের কাজে বড় ভাইকে সাহায্য করতেন স্কুল ড্রেসের ব্যাপক চাহিদা মাথায় রেখে আরেকটি দোকান নিয়ে জনাব কামাল লুঙ্গির পাশাপাশি অন্যান্য কাপড়ও রাখেন। নিজের জমানো অর্থ ও কিছু টাকা ধার করে মূলধন গঠন করেন। শুরুতে তেমন সাড়া না পেয়ে হতাশ হলেও দিনরাত পরিশ্রম, ন্যায্য দাম আর সততার মাধ্যমে একসময় ঘুরে দাঁড়ান। বর্তমানে তিনি নিজেই কাপড় তৈরির কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী।
স্টেশনারি সামগ্রী তৈরি করে সোহেল উদ্যোক্তা হিসাবে সুনাম অর্জন করে। পরবর্তীতে যথাযথ জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে গার্মেন্টস সামগ্রী তৈরি কারখানা স্থাপন করেন। অনেক অর্থের প্রয়োজন হলে মূলধন সংগ্রহে ব্যর্থ হন। অদক্ষ শ্রমিক এবং পথে কাঁচামাল ছিনতাই হয়ে যাওয়ায় ভার উৎপাদনও বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে পারেননি।
রনি ও তার দশ বন্ধু মিলে 'যমুনা' নামে একটি ব্যবসায় সংগঠন চালু করেন। এই ব্যবসায়ের পরিচালক পাঁচজন। তারা শেয়ারবাজারে শেয়ার ও ঋণপত্র ইস্যু করে মূলধন সংগ্রহ করেন। অপরদিকে জনি তার তিন বন্ধু মিলে মিতালী' নামে একটি সংগঠন চালু করেন। এর পরিচালক দুইজন। সংগঠনটি শুধু সদস্যদের মধ্যেই শেয়ার ছাড়তে পারে। সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
কুসুমপুরের শফিক মিয়ার পূর্বপুরুষগণ মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন। তাই শফিক মিয়াও এসএসসি পাসের পর মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত হন। তিনি বিভিন্ন রকম হাঁড়ি- পাতিল, পুতুল ও খেলনাসামগ্রী তৈরি করে বাজারজাত করেন। দীর্ঘদিন ধরে তার ব্যবসা ভালোই চলছিল। কিন্তু সম্প্ৰতি COVID 19 ভাইরাসের কারণে দেশের মানুষের আয়-রোজগার ও সঞ্চয় কমে যায়। তাই তার ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। নতুনভাবে অর্থসংস্থানের মাধ্যমে ব্যবসায় সচল রাখতে চাইলেও শফিক মিয়া তা পারলেন না। অবশেষে তার ব্যবসায় বন্ধ হয়ে যায়।
উচ্চ শিক্ষিত ইব্রাহীম সাহেব যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি প্রাপ্তিতে ব্যর্থ হন। অনেকদিন বেকার থাকার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ও কম্পিউটার চালনায় প্রশিক্ষণ কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করেন। তার পর বুড়িচং উপজেলার প্রাণকেন্দ্র “মা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার' নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জুয়েল নামে একজন কর্মচারীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিয়োগ দেন। ফলে জুয়েলের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারসহ অন্যান্য সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
জনাব শাহ আলম একজন সবজি বিক্রেতা। তিনি চান্দিনা পাইকারি বাজার হতে বিভিন্ন ধরনের সবজি কম দামে ক্রয় করে তা কুমিল্লা শহরে ভোক্তাদের নিকট বেশি দামে বিক্রয় করেন। তিনি আলুর মৌসুমে একটন আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে অধিক দামে বিক্রয় করে লাভবান হয়েছেন। তাই তিনি এই বছর ২০ টন আলু সংরক্ষণের চিন্তা-ভাবনা করে ব্যাংকে একলক্ষ টাকা ঋণ করেন। যথাসময়ে ঋণ না পাওয়ায় তার টার্গেট পূরণ হয়নি।
শাহেদ ও ৮ বন্ধু স্বেচ্ছায় সংঘবদ্ধ হয়ে ২০১৫ সালে একটি টেক্সটাইল মিল প্রতিষ্ঠা করেন, যার শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয়। প্রতিষ্ঠানটি হয় বেতনভুক্ত একটি কর্তৃপক্ষ দ্বারা। তিন বছর পর ব্যবসায়ের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়টি সম্প্রসারণের জন্য অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন হয়। ফলে তারা শেয়ার ও ঋণপত্র জনগণের নিকট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় শেয়ারহোল্ডারগণ যে পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করবেন, তারা শুধু সে পরিমাণ অর্থের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে।
জনাব হাছান একজন কৃষিবিদ। তিনি তার স্বল্পশিক্ষিত বন্ধু জনাব আজাদকে গরুর খামার করার পরামর্শ দেন। তিনি তাঁকে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিতে বলেন। জনাব হাছানের পরামর্শ মতো জনাব আজাদ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নিজেদের অব্যবহৃত এক একর জমিতে গরু পালনের খামার প্রতিষ্ঠা করেন। সুষ্ঠুভাবে গরুর পরিচর্যার কারণে তার খামারের দিন দিন উন্নতি হচ্ছে।
বিধী, তিথি ও মনি একত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নিজেদের মধ্যে মূলধন ও মুনাফা সমান অনুপাতে বণ্টনের নিমিত্তে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিচালনার ৬ মাস পর বিথী মারা গেলে তার ১২ বছরের মেয়ে সীমাকে বিথীর পরিবর্তে ব্যবসায়ে নেওয়া হয়। অপরদিকে, রিমি ও রিনি আইনসৃষ্ট একটি এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। যেকোনো সাতটি প্রশ্নের উত্তর । প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য প্রতিষ্ঠানের নাম 'মাইশা এন্ড কোং ও মূলধন সারে উপায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধকের অফিসে ফি জমা দিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করেন। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরও প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি।
মি. শিপন একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর। তিনি ভীষণ বাস্তব জ্ঞানের অধিকারী। প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য সবসময় তাঁর নখদর্পণে থাকে। প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মী অর্পিত দায়িত্বকে আদর্শ মনে করে যথাযথভাবে পালন করে। নি শিপনের কাছ থেকে কোনো আদেশ পাওয়া মাত্র তারা তা পালনে বাধ্য হয়ে ওঠে। কারণ, কে আদেশ দিয়েছে তার তুলনায় কী আদেশ দেওয়া হয়েছে- সেটিই তাদের নিকট প্রধান বিষয়। প্রতিষ্ঠানের যেকোনো সমস্যা তিনি ধার স্থিরভাবে সমাধান করেন। তাছাড়া মি. শিপনের মার্জিত ব্যবহার সকলকে মুগ্ধ করেছে। তিনি নারী-পুরুষের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থেকে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।
রামিসা আনান টিভিতে মডেল হিসেবে কাজ করেন। তিনি মনে করেন নতুন নতুন পণ্য ও সেবাসামগ্রী ক্রয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য এবং বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য তার এই কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। অপরদিকে সামিহা আনান একটি বৃহদাকার শপিং মলে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন। ক্রেতাদের সাথে সুন্দর আচরণ, আত্মবিশ্বাস, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা ইত্যাদি কারণে সামিহার বিক্রয়ও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
'রুবি এন্টারপ্রাইজ' এর মালিক মি. ফজল। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের নেতা কর্মীদের উপর দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকেন। নিজে কাজ করতে পছন্দ করেন না। সুনির্দিষ্ট আদেশও দেন না। ফলে দিনদিন ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অপরপক্ষে 'শঙ্খা এন্টারপ্রাইজের মালিক মি. সুমন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কর্মীদেরকে সমভাবে মূল্যায়ন করেন। প্রতিষ্ঠানের সকল বিষয়ে তাঁর দক্ষতা থাকার কারণে কর্মীদেরকে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব বণ্টন করেন। এতে কর্মীরা প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়।
জনাব রুহুল আমিন বিভিন্ন ধরনের খেলনাসামগ্রী তৈরি করেন এবং সেগুলোকে মান অনুযায়ী ভাগ করেন। অতঃপর আকার ও গুণাগুণ অনুযায়ী পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে প্যাকেটিং করে গুদামে সংরক্ষণ করেন, পরবর্তীতে তিনি তার পণ্য বড় বড় ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করেন, যারা অল্প অল্প করে ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় এভাবে জনাব রুহুল আমিনের পণ্যসমূহ ভোক্তাদের নিকট পৌঁছে।
জনাব আতিক একজন প্রভাষক। তিনি তার এলাকার জনগণকে সাহিত্যে উৎসাহিত করার জন্য একটি পাঠাগার স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অপরপক্ষে তার বন্ধু সাজু যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পোলট্রি ও ডেইরি ফিড তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন, এতে অনেক লোকের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এখন সে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী।
মি. আফাজ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে রূপসা নদীর পাড়ে পাঁচ একর জমিতে কৃষিজাত বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করেন। উৎপাদিত পণ্য তিনি সড়ক ও নৌপথে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন। এক নৌ দুর্ঘটনায় পণ্য নষ্ট হলে তিনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। সম্প্রতি এক বন্ধুর পরামর্শে ব্যবসায়িক বাকি কমানোর লক্ষ্যে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
গ্রামের স্বল্প শিক্ষিত যুবক রাজীব একটি পোল্ট্রি ফার্মে চাকরি করেন। যে বেতন পান তাতে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। তিনি নিজে কিছু করার পরিকল্পনা নেন। সে লক্ষ্যে স্থানীয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে গবাদিপশু পালনের উপর প্রশিক্ষণ ও ঋণ নিয়ে বাড়িতে গবাদিপশু পালন শুরু করেন। শুর দিকে একাধিক প্রতিবন্ধকতা বারবার চেষ্টার মাধ্যমে জয় করে বর্তমানে তিনি একজন সফল খামারি । তাঁর খামারে বর্তমানে ৪০ জন যুবক কাজ করেন।
ফিশারিজ বিষয় পড়াশুনা শেষ করে মি. আরমান এক বছর চাকরির পেছনে সময় নষ্ট করেন। আশানুরূপ চাকরি লাভে ব্যর্থ হন। বন্ধুর পরামর্শে চাকরির পেছনে আর সময় নষ্ট না করে, নিজের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে গ্রামে ৪টি পতিত পুকুর সংস্কার করে তাতে মাছ চাষ শুরু করেন। উৎপাদন ভালো হলেও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ার কারণে মাছ সংরক্ষণ ও সরবরাহে সমস্যায় পড়েন। আশা না ছেড়ে তিনি ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি আরও মনে করেন ব্যবসায় উদ্যোগ উন্নয়নে কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষা জরুরি।
আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মি. শহিদ একজন সফল উদ্যোক্তা। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'কোনো পেশা বা কাজ ছোট নয়। আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তা দেওয়ার জন্য এখন সরকারি ও বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিভিন্ন কাজের উপর প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তা দেয়।' তাঁর বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে। মাহমুদ একটি এন.জি.ও থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের ঋণ সহায়তায় একটি হাঁস-মুরগির খামার স্থাপন করেন।
নাহিদা আকতার স্বল্প শিক্ষিত একজন মহিলা। তিনি একটি বিশেষ মন্ত্রণালয় থেকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তাঁর এলাকায় ও আশেপাশের এলাকায় প্রচুর সরিষা উৎপাদন হয়। বর্তমানে খাঁটি সরিষার তেলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই তিনি সরিষার তেল প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেন। এ লক্ষ্যে তিনি তেল উৎপাদনকারী একটি মেশিন ক্রয় করে নিজের বাসায় উৎপাদন শুরু করেন। উৎপাদিত পণ্যের মান ভালো হওয়ায় এক বছরের মধ্যে তিনি সফলতার মুখ দেখেন ।
সুশান্ত ট্রেডার্স এর মালিক মি. দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে ব্যবসায় করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষন ও নির্দেশনা প্রদান করেন। কর্মচারীরা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন নিল বানাবন করেন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার ও পদোন্নতির ব্যবস্থা করেন ফলে কর্মচারীরা উৎসাহ নিয়ে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হন, যা তাঁর প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করে।
মি. লিমন একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। নিজস্ব মতামত ও ধান-ধারণার বাইরে অন্যদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া তিনি পছন্দ করেন না। কর্মচারীদের তিনি কথা বলার সুযোগ দেন না, সব সময় চাপের মধ্যে রাখেন, নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন। ফলে কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। অন্যদিকে শিমরান ট্রেডার্সের মালিক মি. রফিক কর্মচারীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।